আজকাল স্মার্টওয়াচ শুধু সময় দেখার জন্য নয়, এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। একটি স্মার্টওয়াচ আপনার ফিটনেস ট্র্যাক করতে, নোটিফিকেশন দেখাতে, এমনকি ফোন কল ধরতেও সাহায্য করে। কিন্তু বাজারে এত ধরনের স্মার্টওয়াচ রয়েছে যে কোনটি আপনার জন্য সেরা, তা খুঁজে বের করা বেশ কঠিন। এই আর্টিকেলে আমরা স্মার্টওয়াচ কেনার আগে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
১. আপনার প্রয়োজন এবং ব্যবহার চিহ্নিত করুন:
স্মার্টওয়াচ কেনার আগে সবার প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে আপনি কী কারণে স্মার্টওয়াচ কিনছেন। আপনি কি শুধু ফিটনেস ট্র্যাক করতে চান? নাকি নোটিফিকেশন এবং কল ম্যানেজ করার জন্য একটি ডিভাইস খুঁজছেন? নাকি আপনি একটি স্টাইলিশ গ্যাজেট চান যা আপনার ব্যক্তিত্বকে তুলে ধরবে?
- ফিটনেস ট্র্যাকিং: যদি আপনার মূল উদ্দেশ্য ফিটনেস ট্র্যাকিং হয়, তাহলে এমন স্মার্টওয়াচ দেখুন যাতে হার্ট রেট মনিটর, স্টেপ কাউন্টার, ক্যালরি ট্র্যাকার, স্লিপ ট্র্যাকার এবং জিপিএস (GPS) এর মতো ফিচারগুলো আছে। কিছু স্মার্টওয়াচে ব্লাড অক্সিজেন লেভেল (SpO2) এবং ইসিজি (ECG) এর মতো উন্নত হেলথ ট্র্যাকিং ফিচারও থাকে। Garmin, Fitbit এবং Apple Watch এই ক্যাটাগরিতে বেশ জনপ্রিয়।
- স্মার্টফোন এক্সটেনশন: যদি আপনি আপনার স্মার্টফোনের নোটিফিকেশন, কল এবং মেসেজ সরাসরি আপনার কব্জিতে পেতে চান, তাহলে আপনার ফোনের অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি স্মার্টওয়াচ বেছে নেওয়া উচিত। Apple Watch (আইফোনের জন্য) এবং Samsung Galaxy Watch বা Google Pixel Watch (অ্যান্ড্রয়েডের জন্য) এই ক্ষেত্রে ভালো বিকল্প।
- স্টাইল এবং ফ্যাশন: যদি স্টাইল আপনার কাছে একটি বড় ব্যাপার হয়, তাহলে এমন স্মার্টওয়াচ বেছে নিন যা আপনার রুচি এবং পোশাকের সাথে মানানসই। অনেক স্মার্টওয়াচে কাস্টমাইজেবল ডায়াল, সোয়াপযোগ্য স্ট্র্যাপ এবং প্রিমিয়াম ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা হয়। Fossil, Skagen এবং Samsung Galaxy Watch এর কিছু মডেল ফ্যাশনেবল ডিজাইনের জন্য পরিচিত।
আপনার প্রয়োজন চিহ্নিত করা আপনাকে অপ্রয়োজনীয় ফিচারযুক্ত স্মার্টওয়াচ কেনা থেকে বিরত রাখবে এবং আপনার বাজেটকেও নিয়ন্ত্রণ করবে।
২. অপারেটিং সিস্টেম এবং স্মার্টফোন সামঞ্জস্য:
স্মার্টওয়াচ কেনার সময় এর অপারেটিং সিস্টেম (OS) এবং আপনার স্মার্টফোনের সাথে এর সামঞ্জস্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
- Apple Watch (watchOS): যদি আপনার আইফোন থাকে, তাহলে Apple Watch আপনার জন্য সেরা পছন্দ। watchOS অ্যাপলের ইকোসিস্টেমের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে এবং আইফোনের সব ফিচারের সাথে মসৃণভাবে ইন্টিগ্রেট হয়। এটি আইওএস (iOS) ছাড়া অন্য কোনো অপারেটিং সিস্টেমের সাথে কাজ করে না।
- Wear OS by Google: অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের ব্যবহারকারীদের জন্য Wear OS একটি জনপ্রিয় বিকল্প। এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে বিভিন্ন অ্যাপ সমর্থন করে এবং গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, গুগল ম্যাপস ও গুগল পে-এর মতো গুগলের সার্ভিসগুলোর সাথে ভালোভাবে কাজ করে। Samsung, Fossil, Skagen এবং Mobvoi এর মতো ব্র্যান্ডগুলো Wear OS চালিত স্মার্টওয়াচ তৈরি করে।
- Samsung (Tizen/Wear OS): স্যামসাং তাদের গ্যালাক্সি ওয়াচ সিরিজে Tizen OS ব্যবহার করত, তবে এখন তারা গুগল ও স্যামসাংয়ের যৌথ উদ্যোগে তৈরি Wear OS (One UI Watch সহ) ব্যবহার করে। এটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সাথে খুব ভালোভাবে কাজ করে এবং কিছু ফিচার আইফোনের সাথেও কাজ করে, তবে সম্পূর্ণ কার্যকারিতার জন্য অ্যান্ড্রয়েড ফোনই ভালো।
- Fitbit OS: ফিটবিট তাদের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে, যা মূলত ফিটনেস ট্র্যাকিংয়ের উপর জোর দেয়। এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয় ফোনের সাথেই সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সঠিক অপারেটিং সিস্টেম বেছে নেওয়া আপনার স্মার্টওয়াচের ইউজার এক্সপেরিয়েন্সকে অনেক সহজ করে তুলবে।

৩. ব্যাটারি লাইফ:
স্মার্টওয়াচের ব্যাটারি লাইফ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়, কারণ কেউ চায় না যে তাদের গ্যাজেটটি দিনের মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাক। স্মার্টওয়াচের ব্যাটারি লাইফ এর ফিচার, ডিসপ্লের ধরন এবং ব্যবহারের উপর নির্ভর করে।
- দৈনিক চার্জিং: কিছু স্মার্টওয়াচ, বিশেষ করে যাদের ডিসপ্লে উজ্জ্বল এবং প্রচুর ফিচার রয়েছে (যেমন Apple Watch), সেগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই চার্জ দিতে হতে পারে। যদি আপনার এটিতে সমস্যা না থাকে, তবে এমন মডেল বেছে নিতে পারেন।
- কয়েক দিনের ব্যাটারি লাইফ: কিছু স্মার্টওয়াচ ৩-৫ দিন পর্যন্ত ব্যাটারি লাইফ দিতে পারে। যারা প্রতিদিন চার্জ দেওয়ার ঝামেলা এড়াতে চান, তাদের জন্য এটি ভালো বিকল্প। ফিটনেস-কেন্দ্রিক স্মার্টওয়াচ এবং ই-ইঙ্ক ডিসপ্লে (E-Ink display) সহ স্মার্টওয়াচগুলো সাধারণত ভালো ব্যাটারি লাইফ দেয়।
- দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ: কিছু স্মার্টওয়াচ, বিশেষ করে যেসব স্মার্টওয়াচে বেসিক ফিচার এবং মনোক্রোম ডিসপ্লে থাকে, সেগুলোতে কয়েক সপ্তাহ এমনকি মাস পর্যন্ত ব্যাটারি লাইফ পাওয়া যায়। যারা খুব বেশি স্মার্ট ফিচার ব্যবহার করেন না এবং চার্জিং নিয়ে চিন্তিত, তাদের জন্য এটি সেরা।
আপনার দৈনন্দিন রুটিন এবং স্মার্টওয়াচ ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী ব্যাটারি লাইফ বেছে নিন।
৪. ডিসপ্লে:
স্মার্টওয়াচের ডিসপ্লে শুধু সময় দেখায় না, এটি আপনার ইন্টারঅ্যাকশনের প্রধান মাধ্যম। ডিসপ্লের মান এবং ধরন আপনার ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে প্রভাবিত করে।
- AMOLED/OLED ডিসপ্লে: বেশিরভাগ প্রিমিয়াম স্মার্টওয়াচে AMOLED বা OLED ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়। এই ডিসপ্লেগুলো উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত রং এবং গভীর কালো দেখায়। এগুলি সূর্যের আলোতেও ভালোভাবে দেখা যায় এবং “অলওয়েজ-অন ডিসপ্লে” (Always-On Display) ফিচারের জন্য উপযুক্ত। এর downsides হল যে তারা ব্যাটারি বেশি খরচ করে।
- LCD ডিসপ্লে: কিছু সাশ্রয়ী স্মার্টওয়াচে LCD ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়। এগুলি ভালো ভিজ্যুয়াল সরবরাহ করে কিন্তু AMOLED এর মতো উজ্জ্বল বা প্রাণবন্ত নাও হতে পারে। এগুলি সাধারণত ব্যাটারি সাশ্রয়ী হয় না।
- E-Ink/Memory-in-Pixel (MIP) ডিসপ্লে: এই ধরনের ডিসপ্লে সাধারণত ফিটনেস ট্র্যাকার এবং কিছু বিশেষ স্মার্টওয়াচে দেখা যায়, যা দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ নিশ্চিত করে। এগুলি সূর্যালোকের নিচেও খুব ভালোভাবে দেখা যায় এবং খুবই কম শক্তি খরচ করে। তবে, এগুলি রঙিন নয় এবং ভিডিও বা গ্রাফিক্স প্রদর্শনের জন্য উপযুক্ত নয়। Garmin-এর কিছু মডেলে এই ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াও ডিসপ্লের আকার, রেজোলিউশন এবং উজ্জ্বলতা বিবেচনা করুন। একটি বড় এবং উচ্চ-রেজোলিউশনের ডিসপ্লে তথ্য দেখতে সহজ করে তোলে।

৫. ফিটনেস এবং হেলথ ট্র্যাকিং ফিচার:
আধুনিক স্মার্টওয়াচগুলি শুধু সময় দেখার যন্ত্র নয়, এগুলি আপনার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবেও কাজ করে। বিভিন্ন ধরণের ফিটনেস এবং হেলথ ট্র্যাকিং ফিচার রয়েছে, যা আপনার প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে বেছে নেওয়া উচিত।
- হার্ট রেট মনিটর (HRM): প্রায় সব স্মার্টওয়াচেই হার্ট রেট মনিটর থাকে। এটি আপনার হৃদস্পন্দন ট্র্যাক করে এবং নির্দিষ্ট রেঞ্জের বাইরে গেলে সতর্ক করে।
- স্টেপ কাউন্টার এবং ক্যালরি ট্র্যাকার: আপনার দৈনন্দিন কার্যকলাপের মাত্রা পরিমাপের জন্য এটি মৌলিক ফিচার।
- স্লিপ ট্র্যাকার: আপনার ঘুমের প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করে এবং ঘুমের মান উন্নত করার টিপস দেয়।
- জিপিএস (GPS): এটি ওয়ার্কআউট ট্র্যাক করতে এবং মানচিত্রের সাহায্যে পথ খুঁজতে সাহায্য করে। যারা দৌড়ান বা সাইকেল চালান, তাদের জন্য এটি খুবই জরুরি।
- ব্লাড অক্সিজেন স্যাচুরেশন (SpO2): এটি আপনার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করে, যা শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্য বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- ইসিজি (ECG): কিছু প্রিমিয়াম স্মার্টওয়াচ ইসিজি ফিচার অফার করে, যা হার্টের অস্বাভাবিক ছন্দ (যেমন অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন) সনাক্ত করতে সাহায্য করে।
- স্ট্রেস মনিটরিং: এটি আপনার স্ট্রেসের মাত্রা পরিমাপ করে এবং রিল্যাক্সেশন টেকনিকের পরামর্শ দেয়।
- উইমেন’স হেলথ ট্র্যাকিং: পিরিয়ড সাইকেল ট্র্যাক করতে এবং ওভুলেশন সম্পর্কে ধারণা দিতে কিছু স্মার্টওয়াচে এই ফিচার থাকে।
আপনার জীবনধারা এবং স্বাস্থ্য লক্ষ্যগুলির উপর নির্ভর করে, সঠিক ফিটনেস ফিচারগুলি বেছে নিন।
৬. ডিজাইন, ম্যাটেরিয়াল এবং কাস্টমাইজেশন:
একটি স্মার্টওয়াচ আপনার কব্জিতে ২৪/৭ থাকে, তাই এর ডিজাইন, ম্যাটেরিয়াল এবং কাস্টমাইজেশন অপশনগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
- কেসের ম্যাটেরিয়াল: স্মার্টওয়াচের কেস বিভিন্ন ম্যাটেরিয়ালে তৈরি হয়, যেমন অ্যালুমিনিয়াম, স্টেইনলেস স্টিল, টাইটানিয়াম এবং প্লাস্টিক।
- অ্যালুমিনিয়াম: হালকা এবং সাশ্রয়ী, বেশিরভাগ এন্ট্রি-লেভেল এবং মিড-রেঞ্জ স্মার্টওয়াচে ব্যবহৃত হয়।
- স্টেইনলেস স্টিল: প্রিমিয়াম লুক এবং অনুভূতি দেয়, স্ক্র্যাচ প্রতিরোধী এবং টেকসই।
- টাইটানিয়াম: খুবই হালকা এবং অত্যন্ত শক্তিশালী, তবে ব্যয়বহুল।
- প্লাস্টিক: সবচেয়ে সাশ্রয়ী এবং হালকা, সাধারণত স্পোর্টস-ভিত্তিক স্মার্টওয়াচে দেখা যায়।
- স্ট্র্যাপ: স্মার্টওয়াচের স্ট্র্যাপগুলিও বিভিন্ন ম্যাটেরিয়ালে পাওয়া যায়, যেমন সিলিকন, লেদার, নাইলন এবং মেটাল। অনেক স্মার্টওয়াচে স্ট্র্যাপ পরিবর্তন করার সুবিধা থাকে, যা আপনাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্ট্র্যাপ ব্যবহার করতে দেয়।
- ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স: বেশিরভাগ স্মার্টওয়াচ ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট হয়, যার মানে আপনি সাঁতার কাটার সময় বা গোসল করার সময়ও এটি পরতে পারবেন। ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স রেটিং (যেমন ৫০ মিটার বা ১০০ মিটার) দেখে নিন।
- কাস্টমাইজেশন: আপনার স্মার্টওয়াচকে ব্যক্তিগত করার জন্য কাস্টমাইজেবল ওয়াচ ফেস, বিভিন্ন স্ট্র্যাপ এবং কেস অপশনগুলো বিবেচনা করুন।

৭. বাজেট:
শেষ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার বাজেট। স্মার্টওয়াচের দাম কয়েক হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, যা ব্র্যান্ড, ফিচার এবং ম্যাটেরিয়ালের উপর নির্ভর করে।
- এন্ট্রি-লেভেল (৳৫,০০০ – ৳১৫,০০০): এই রেঞ্জে আপনি বেসিক ফিটনেস ট্র্যাকিং, নোটিফিকেশন এবং কিছু স্মার্ট ফিচার সহ স্মার্টওয়াচ পাবেন। Xiaomi, Realme, Amazfit এবং কিছু ফিটবিট মডেল এই রেঞ্জে ভালো বিকল্প।
- মিড-রেঞ্জ (৳১৫,০০০ – ৳৪৫,০০০): এই রেঞ্জে উন্নত ফিটনেস ট্র্যাকিং, জিপিএস, স্পিওল২ (SpO2), এনএফসি (NFC) পেমেন্ট এবং উন্নত ডিসপ্লে সহ স্মার্টওয়াচ পাওয়া যায়। Samsung Galaxy Watch, Garmin Venu/Forerunner এবং কিছু Fitbit Sense/Versa মডেল এই ক্যাটাগরিতে পড়ে।
- প্রিমিয়াম (৳৪৫,০০০ এর উপরে): এই রেঞ্জে আপনি সেরা ডিজাইন, উন্নত হেলথ ট্র্যাকিং (ECG), সেলুলার কানেক্টিভিটি (eSIM), প্রিমিয়াম ম্যাটেরিয়াল এবং মসৃণ ইউজার এক্সপেরিয়েন্স সহ স্মার্টওয়াচ পাবেন। Apple Watch (বিশেষ করে সেলুলার মডেল), Garmin Fenix এবং Samsung Galaxy Watch এর প্রিমিয়াম মডেলগুলি এই ক্যাটাগরিতে পড়ে।
আপনার বাজেট নির্ধারণ করুন এবং সেই বাজেটের মধ্যে সেরা ফিচার এবং মানের স্মার্টওয়াচটি বেছে নিন। মনে রাখবেন, সবচেয়ে দামি স্মার্টওয়াচটিই সবসময় আপনার জন্য সেরা নাও হতে পারে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী একটি উপযুক্ত স্মার্টওয়াচ বেছে নেওয়া উচিত।
একটি স্মার্টওয়াচ কেনা একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, যা আপনার জীবনধারা, প্রয়োজন এবং বাজেট দ্বারা প্রভাবিত হয়। এই ৭টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করে আপনি আপনার জন্য সেরা স্মার্টওয়াচটি বেছে নিতে পারবেন। মনে রাখবেন, প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত বিকশিত হচ্ছে, তাই কেনার আগে সাম্প্রতিক রিভিউ এবং ফিচারগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। আশা করি এই গাইডলাইন আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে এবং আপনি আপনার নতুন স্মার্টওয়াচের সাথে একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা লাভ করবেন।

Impressive